Sunday, July 8, 2018

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন দিন কোন মন্ত্রীকে ছাড় দিয়ে কথা বলেন নি এবং আজীবন তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেছেন; কিন্তু

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন দিন কোন মন্ত্রীকে ছাড় দিয়ে কথা বলেন নি এবং আজীবন তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেছেন; কিন্তু অনিয়ম দূর করতে পারেন নি; কারন কম্বল বাছাই করলে শীতে কষ্ট পেতে হবে তাই;
কিন্তু প্রসঙ্গ সেটি নয়; যে কারনে মন্ত্রী ও নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির কারনে বহু নিবেদিত ছেলে মেয়ে এখন নিশ্চুপ গন্ধ বিধুর ধুপ! তাদের কতটা উপকার হয়েছে; নেতা মন্ত্রীদের শাসিয়ে দেয়ার অর্থ এই নয় যে উল্লেখিত অবহেলিত তৃনমূল নেতা কর্মীদের সমস্যা সমাধান হয়েছে?
অবহেলিত করমী/নেতা/মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হতাশাব্যঞ্জক বক্তব্য, দুখ প্রকাশ ও কষ্টের কারনে অবহেলিত নেতাকর্মী বা মুক্তিযোদ্দা ও তাঁদের পরিবার খুশি হলো-তাতেই কি সমস্যার সমাধান হল? বরং কোন নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউ সত্য অভিযোগ করলে তাকে হয়রানি করা হয়; দল থেকে কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয় অতি সুক্ষ্ম গোপন কারচুপির মাধ্যমে। এক মন্ত্রী আর এক মন্ত্রীকে বলে দেয় ও আমাকে বাজে কথা বলেছে, ওর কোন কাজ করবে না ইত্যাদি;
তাহলে নেত্রীর ইচ্ছে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন কোথায় হল? কোথায় অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধা/আওয়ামী যোদ্ধা/নেতা/ কর্মীদের উপকার করা হল?
মঞ্চে বক্তব্য প্রদান করে মানুষকে বিমোহিত করা; চেতনাকে নাড়া দেয়া আবেগাপ্লুত করে তোলা, উত্তেজিত করা এক, আর সকল বক্তব্য ভাষনের আদিপাদ্য সমস্যাগুলো খতিয়ে সমাধান করা আর এক।
এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে তাঁদের পিএস এপিএস ও পিও গণ উক্ত ছেলের এলাকার নেতা মন্ত্রী সাংসদদের পিএ পিএস এপিএসদের ফোন করে জানিয়ে দেয় -ঐ ছেলে তোমার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বলেছে; তাকে যেনো তোমার মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে না দেয়া হয়-এমন হাজারো ঘটনা প্রবাহ আমার ব্যক্তি জীবনে এই আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ঘটে গিয়েছে। তাতেই বুঝতে পেরেছি নৈতিক চরিত্র আর রাজনৈতিক চরিত্রের কোন মিল নেই; একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান যা' করতে চান, তা'দলের নেতা মন্ত্রীদের কারনে বাস্তবায়ন হয়না; এটা বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে আমার নিজ চোখে দেখা বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকেই লিখছি এবং ঠিক একই অবস্থানে আওয়ামী লীগের মাননীয় নেত্রীর অতি নিকটে থেকে এবং অনেক মন্ত্রীর নিকটে থেকে লব্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।

আমরা একটি ভোটের মালিক; ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিলাম কিনা, তা' কেউ খতিয়ে দেখে বলতে পারবে না যে-আমি ভোট দিয়েছি কিংবা দেই নি; না দিলেও দেয়া হয়ে যাবে আর দিলেও এমন আহা মরি কিছু একটা ঘটবে না। "পদ্মার পানিতে কবে কোথায় কে কত কলসী পানি ঢেলেছে বা নিয়েছে সে হিসেব পদ্মা জানেও না রাখেওনা।"
কত নিবেদিত প্রাণ কত বড় বড় রাঘব বোয়াল নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে আমার চোখের সামনে, ধ্বংস হয়ে গিয়েছে জীবনের সব কিছু বিলিয়ে দেয়া অবদানের সুউচু পাহাড়; আজ কেউ তাঁদের নামও উচ্চারন করেনা কারন কেউ মনে রাখে না।
আজকের সারা বাংলাদেশে তৃনমূল আওয়ামী যোদ্ধা করমী/মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকটা সে অবস্থাই বটে; দল এগিয়ে যাচ্ছে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; নেত্রীর প্রশংসা আজ শুধু দেশে নয় গোটা বিশ্বসহ জাতিসংঘ পর্যন্ত ভূয়সী প্রশংসা করছেন- (ক) জঙ্গি দমন (খ) মাদকদমন (গ) উন্নয়ন এবং (ঘ) জনশক্তি ও শ্রমশক্তি রপ্তানী ইত্যাদি ইত্যাদি কারনে;
কিন্তু পিছিয়ে পড়ছে শুধু আওয়ামী লীগের ত্যাগি নিবেদিত কর্মঠ দুর্দিনের সুঃসময়ের মাঠে ময়দানে রাজপথে শহরে বন্দরে নগরে হাটে বাজারে গ্রামে মহল্যায় অতীতের দিনগুলোতে ভোট সংগ্রহকারী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আসল নেতাকর্মীগুলো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি সব পারবেন, পারবেন না শুধু অবহেলিতদের ফিরিয়ে আনতে কারন আপনার নবাগত নতুন চকচকে মুজিবকোটধারী কাউয়া হাইব্রীড ফার্মের মূরগীসম নেতারা ওদেরকে মঞ্চে উঠতে দেয়না এবং দেবেও না। কারন ওদের শক্তির পিছনে আছে আপনার নোমিনেশনপ্রাপ্ত নৌকার টিকেটধারী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম সুবিদ আলী ভূঁইয়া মোঃ শাহরিয়ার আলম, আ ক ম মোজাম্মেল হকদের মত মহান দেশপ্রেমিকগণ।
মোকতেল হোসেন মুক্তি
মুক্তিযোদ্ধা ও কন্ঠশিল্পী
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু



LikeShow more reactionsCommentShare

Comments

Write a comment...

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন দিন কোন মন্ত্রীকে ছাড় দিয়ে কথা বলেন নি এবং আজীবন তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেছেন; কিন্তু

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন দিন কোন মন্ত্রীকে ছাড় দিয়ে কথা বলেন নি এবং আজীবন তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেছেন; কিন্তু অনিয়ম দূর করতে পারেন...